ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (IEC) প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্বব্যাপী পালন করে “বিশ্ব ডিম দিবস (World Egg Day)”। ১৯৯৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন-এর উদ্যোগে প্রথম পালিত হয় এই দিবসটি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS) IEC-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি নিয়োজিত হওয়ার পর বাংলাদেশে প্রথম ২০১৩ সালে ১৮তম বিশ্ব ডিম দিবস পালন করে।
FAO এবং IEC-এর যৌথ সহযোগীতা চুক্তি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে FAO-এর সহযোগিতায় ইঅঅঝ প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করছে ২৪তম বিশ্ব ডিম দিবস-২০১৯। এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “হাতের নাগালে, উন্নত পুষ্টির উৎস ডিম” (ঊমম, ঞযব অভভড়ৎফধনষব ঝড়ঁৎপব ড়ভ ঘঁঃৎরঃরড়হ)। এই দিবসটি পালনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারন তথা ভোক্তাকে ডিম সম্পর্কে সঠিক তথ্য পরিবেশন করে উন্নত পুষ্টির উৎস হিসেবে ডিম গ্রহনে উৎসাহিত করা।
জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থা ( FAO) এবং ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন-এর যৌথ উদ্যোগ ও সহযোগিতায় গত ১১ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার, বাংলাদেশ এনিম্যাল এগ্রিকালচার সোসাইটি, কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ (কওই) চত্ত্বরে আয়োজন করে “বিশ্ব ডিম দিবস-২০১৯”। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট, বাংলাদেশ-এর সম্মানিত সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) ড. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া এবং মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ মোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি-এর সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ মোরশেদ আলম, মহাসচিব ডাঃ সফিউল আহাদ সরদার, বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ান মিসেস ইশরাত জাহান, জিটিভি ও সারা বাংলার প্রধান সম্পাদক জনাব সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বিশিষ্ট ভেটেরিনারিয়ানগন, প্রানি পুষ্টিবিদ, পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ এবং গন্যমান্য ব্যক্তি ও ভোক্তাবৃন্দ। বক্তারা ডিমের পুষ্টিমান, ডিম গ্রহনের গুরুত্ব এবং ডিম সম্পর্কে ভোক্তার মনে ভুল ধারনা ইত্যাদি সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
পরিশেষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ মোরশেদ আলম বলেন “ডিম বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে একটি আদর্শ খাদ্য যা উন্নত পুষ্টি সমৃদ্ধ, সাশ্রয়ী এবং সহজপ্রাপ্য। ডিম পুষ্টিগুনে বিশ্বের অন্যতম একক খাদ্য যাতে রয়েছে উন্নত প্রোটিন, ভিটামিন, এবং অন্যান্য উপাদান। এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে ভোক্তা সঠিক পাচ্ছেন এবং অধিক সংখ্যক ভোক্তা ও ডিম গ্রহনের পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৩ সালে জনপ্রতি বাৎসরিক ডিম গ্রহনমাত্রা ৩৭ থেকে আজ ২০১৯-এ এর পরিমান হচ্ছে প্রায় ১০১”।
অনুষ্ঠানটির নানা কার্যক্রমের মধ্যে ছিল ভোক্তা সমাবেশ, পথচারী ও উপস্থিত ভোক্তাদের মাঝে বিনামূল্যে সিদ্ধ ডিম বিতরন, সুদৃশ্য টি-শার্ট বিতরণ এবং ডিমের নানা গুনাগুন সমৃদ্ধ লিফলেট বিতরন। সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন সংগঠনের মহাসচিব ডাঃ শফিউল আহাদ সরদার।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি